কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগ কেন

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো কোনো উত্তরসূরি ঠিক না করেই দলীয় প্রধানের পদ ত্যাগ করেছেন। একই সঙ্গে তার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকেও পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তার পরে কে দলের হাল ধরবেন সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হয়নি। এ ছাড়া বছরের শেষে ফেডারেল নির্বাচনে ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টিকে নেতৃত্ব কে দেবেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ২০১৫ সাল থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রুডো। এর আগে নাজুক পরিস্থিতি থেকে দলকে টেনে তুলেছিলেন তিনি নিজেই। এ খবর দিয়ে বিবিসি বলছে, ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে পদত্যাগ করেছেন ট্রুডো। যার ফলে তার দীর্ঘ রাজনৈতিক অধ্যায়ের অবসান হচ্ছে। কেননা, দল থেকে পদত্যাগ করার অর্থ হচ্ছে তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকেও সরে দাঁড়াতে হবে। তবে পরবর্তী নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনিই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে পার্লামেন্ট মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। দেশটির পার্লামেন্ট না ভেঙে এই স্থগিতাদেশ বিতর্কের জন্ম দেবে, যাতে ভোট সহ অন্যান্য কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আগামী ২৪শে মার্চ পর্যন্ত পার্লামেন্টের সকল কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। এর চার দিন পর ফেডারেল সরকার গঠনের ভোট হবে। সাধারণত কানাডার ফেডারেল দলগুলো তাদের নেতা নির্বাচনে চার থেকে পাঁচ মাস সময় নেয়। দেশব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একজন নতুন নেতা নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রুডো। এমন পরিস্থিতিতে ট্রুডোর উত্তরসূরির তালিকায় উঠে এসেছে লিবারেল দলের সাবেক অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড, পরিবহনমন্ত্রী অনিতা আনন্দ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকার মার্ক কার্টির নাম। তাদের মধ্য থেকেই কেউ একজন দলীয় প্রধান হতে পারেন। দেশটির বিভিন্ন জরিপের পূর্বাভাস বলছে আগামী নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির কাছে ভরাডুবি হতে পারে ট্রুডোর দলের। অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলা করে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে- এমন দলই নির্বাচনে জয়ী হতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।