দীঘির বডি শেমিং যন্ত্রণা

0
143202_Untitled-5

একটা সময় চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি ধারাবাহিকভাবে বডি শেমিংয়ের শিকার হয়েছিলেন। মূলত অসুস্থতার কারণে শারীরিক স্থূলতা ছিলো তার। সেখান থেকেই নানা নেতিবাচক মন্তব্য শুনতে হয়েছে তাকে। সম্প্রতি বিয়ষটি নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। দীঘি বলেন, বডি শেমিংয়ের শিকার যে কেউ অনেক ট্রমাটাইজড হয়ে পড়তে পারেন। হতাশায় ডুবতে পারেন। অথচ মানুষ সেগুলো না ভেবেই বডি শেমিং করে ফেলেন। তার কথায়, যে মানুষটার বডি শেমিং আরেকটা মানুষ করছে, আদৌ সেই মানুষটি বডি শেমিং নিয়ে কতটা সিরিয়াস, কিংবা সে কীভাবে এটিকে গ্রহণ করছে, তার গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু, তা না চিন্তা করেই তো বলে ফেলি আসলে। হতে পারে সে অনেক ট্রমাটাইজড এটা নিয়ে, সে অনেক ফ্রাস্ট্রেটেড বডি শেমিংটা নিয়ে। দীঘি বলেন, একটা সময় ফ্রাস্ট্রেটেড হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ এত এত শুনতাম, এতে একের পর এক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হতো। একটা সময় আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। তখন ডায়েট হচ্ছে না, জিমও হচ্ছে না, আবার মোটা হয়ে গেলাম। এরপর যখন ঠিক করলাম, আমাকে শুকাতেই হবে, তখন আবার হলো কোভিড। সুস্থ হতে আমাকে অসম্ভব হাই পাওয়ারের ওষুধ দেওয়া হলো, যেটাতে স্টেরয়েড থাকে। ওটা শরীরে যাওয়াতে এতটা লেভেলে ফুলে গেলাম, আমার নিজেরই মনে হচ্ছিল কি একটা হয়ে গেছি আমি। আমার বডি অনেক ভারী হয়ে গেল এবং দুর্বল হয়ে গেলাম। আমি যে একটু না খেয়ে থাকব এটা আমার পক্ষে সম্ভবই হয়ে উঠছিল না, তখন আমি খুব হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। স্টেরয়েডের জন্য যেটা হয়, কিছুতেই শুকানো যায় না। একটা বছরের মতো ভুগতে হয়েছে, প্রচুর কষ্ট হয়েছে শুকাতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *