নাসরিন আক্তার হয়ে লন্ডন যাচ্ছিলেন নায়িকা নিপুণ

0
1736486993

চিত্রনায়িকা ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাসরিন আক্তার নিপুণকে হেফাজতে নিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে লন্ডন যাওয়ার সময় সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।

এর আগে গুঞ্জন ছিল নায়িকা নিপুণ হয়ত দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। সিলেটে আটক হওয়ার পর স্পষ্ট হলো যে তিনি দেশেই ছিলেন।

গেল ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অনেক নেতাকর্মী ও শিল্পী দেশ ত্যাগ করেছেন। আওয়ামী পন্থী বহু তারকা এখনও গায়েব।

অনেক দিন অন্তরালে থাকার পর সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিজেকে নাসরিন আক্তার দাবি করেছিলেন নিপুণ। তবে চিরচেনা এই নায়িকাকে বিমানবন্দরে আটকে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) আপত্তির মুখে তাকে আটকে দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন ও এভিয়েশনের কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নিপুণ আক্তার নিজের নাম নাসরিন আক্তার লেখা পাসপোর্ট দিয়ে বাংলাদেশ বিমানের ওই ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যের উদ্দ্যশ্যে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

এ সময় তার পাসপোর্ট অফলোড করে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। তবে তার নামে মামলা না থাকায় সরকারের একটি গোয়েন্দার সদস্যরা তাকে ছেড়ে দেয়।
সূত্র জানায়, সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে দায়িত্বরত একটি গোয়েন্দা কর্মকর্তার আপত্তির প্রেক্ষিতে সিলেট থেকে লন্ডনগামী ফ্লাইটের যাত্রী চিত্রনায়িকা নাসরিন আক্তার নিপুণকে দেশত্যাগ করতে দেওয়া হয়নি। যে কারণে ইমিগ্রেশন কর্তৃক অফলোড করে ফেরত পাঠানো হলেও তাকে আটক কিংবা গ্রেপ্তার করা হয়নি।
বিমানবন্দর সূত্র আরও জানায়, লন্ডনগামী ওই ফ্লাইটে মির্জা আব্বাস ও আন্দালিব রহমান পার্থ ছিলেন। সকাল ১০টার দিকে বিমানের ফ্লাইটটি লন্ডনের উদ্দেশ্যে উড়াল দেয়। এরআগে সকালে ঢাকা থেকে সড়ক পথে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন নিপুণ। সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানায় দুই যুবক। এরপর তাকে ইমিগ্রেশন করাতে নেওয়া হয়। ইমিগ্রেশন কর্তৃক অফলোড করার পর ছেড়ে দেওয়া নিপুণ ফের সড়ক পথেই অজানা গন্তব্যে ফিরে যান।
তার বিরুদ্ধে শিল্পীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রচারণামূলক কাজে নিয়মিত পাওয়া যেত এ নায়িকাকে। শুধু তাই নয়, শেখ সেলিম ও আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে নিজের প্রভাব বিস্তার করেন তিনি। এমনকি সে জোরেই শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ার দখল করেন। কাউকে তোয়াক্কা না করে নিজের একক সিদ্ধান্তেই চালাতেন সমিতি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *