যৌনমিলনে অসম্মতি স্ত্রীর দোষ নয়: ইউরোপীয় ইউনিয়ন আদালত

স্বামীর সঙ্গে যৌনমিলনে অসম্মতিকে ‘দোষ’ হিসেবে গণ্য করে এক নারীর বিপক্ষে রায় দিয়েছিলেন ফ্রান্সের একটি আদালত। আদালত ওই নারীর স্বামীকে বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষমতা দিয়েছিলেন। ফরাসি আদালতের এই রায়ের সমালোচনা করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকারবিষয়ক সর্বোচ্চ আদালত (ইসিএইচআর) বৃহস্পতিবার বলেছেন, যৌনমিলনে অসম্মতি জানানোর কারণে ওই নারীকে দোষী বলা যাবে না। ফ্রান্সের যে নারী যৌনমিলনে অসম্মতি জানিয়েছেন, তাঁর বয়স ৬৯ বছর। মামলার রায়ে যৌনমিলন বন্ধ রাখার কারণে ওই নারীকে ‘একমাত্র দোষী’ উল্লেখ করে তাঁর স্বামীকে বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
ফ্রান্সের এই মামলাটি শেষ পর্যন্ত ইসিএইচআরে গড়ায়। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতের বিচারকেরা সর্বসম্মতিক্রমে এক রুল জারি করেন। এতে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের স্থানীয় আদালতের এই রায়ের মাধ্যমে মানবাধিকারসংক্রান্ত ইউরোপীয় কনভেনশনের অংশ হিসেবে নারীর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।
ফ্রান্সের স্থানীয় আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে দেওয়া ইসিএইচআরের রুলে আরও বলা হয়েছে, যে নারী স্বামীর সঙ্গে যৌনমিলনে অসম্মতি জানিয়েছেন, বিবাহবিচ্ছেদের জন্য সেটাকেই ‘দোষ’ হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না।
আদালতে ওই নারীর পরিচয় হিসেবে ‘এইচডব্লিউ’ উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি প্যারিসের পশ্চিম শহরতলি লে চেসনেতে বসবাস করেন। এই নারী বিবাহবিচ্ছেদের বিরোধিতা করেননি; কারণ, তিনিও তা চেয়েছিলেন। তবে ফ্রান্সের স্থানীয় আদালত যে কারণের ভিত্তিতে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার রায় দিয়েছেন, তিনি সেটার বিরুদ্ধে ইসিএইচআরে অভিযোগ করেছেন।